কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত

বর্তমান সময়ে অর্থই সকল সুখের মূল। আমাদের জীবনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত দেশের বাহিরে দেশান্তরি হচ্ছে। সেটি বেসরকারিভাবে আবার সরকারিভাবেও উদ্দেশ্য হল হল টাকা উপার্জন করা।

 অনেকে ভিসার উপর ভিত্তি করে বিদেশে পাড়ি দিয়ে থাকে। অনেক আগের থেকেই, আরবের দেশগুলোর সাথে আমাদের দেশের একটা সুন্দর সম্পর্ক ছিল, এবং বর্তমানেও সেই সম্পর্কটা স্থায়ী রূপে আছে।

সূচিপত্রঃ কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত

• কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত
• কুয়েত রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত
• কুয়েত শ্রমিকদের ভিসা বেতন কত
• কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত 
• কুয়েত কনস্ট্রাকশন ভিসা বেতন কত
•  কুয়েত ক্লিনার ভিসা বেতন কত
• আমাদের শেষ কথা

কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত

কুয়েতে হোটেল ভিসায় বেতন কত এই কথা অনেক জায়গায় শুনেছি, আমরা অনেক মানুষই হোটেল ভিসা নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন কুয়েতে। কিন্তু হোটেল ভিসা এর বেতন কত জানার আগে জানতে হবে, হোটেলে কোন কাজের জন্য আপনাকে নেওয়া হচ্ছে। কিংবা আপনি যাচ্ছেন কারণটি হল, কুয়েতে হোটেল ভিসা অনেক রকম এর আছে, একটি হোটেলে রিসিপশন থেকে শুরু করে কিলিনার, বয় বেল বয়, ও সেফ  এবং রান্নার জন্য সহায়ক ভিসা পর্যন্ত থাকে।

 কুয়েতে হোটেলে ভিসা বেতনের জন্য, আমরা কোন উত্তর সকল পদের জন্য কার কত টাকা বেতন সেই বিষয়ে, একটি তালিকা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি কুয়েতে হোটেল ভিসা এর বেতন কত এই বিষয়ে, আর কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না হয়তো সময়ের পরিবর্তনে একটু তারতম্য হতে পারে। কুয়েতে হোটেল ভিসা বেতনের মধ্য রিসেপশন ২৫০ থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ দিনার পর্যন্ত। তারপরও কথা থাকে, যে কাজে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী ফুলের অবস্থানের কারণে কিছুটা কুয়েত হোটেল ভিসা এর বেতন ভিন্ন বা বেশী কম হতে পারে।

কুয়েত রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত

এবং রেস্টুরেন্টে কাজের জন্য অনেক মানুষ লাগে প্রতিবছর তাদের। আর এই রেস্টুরেন্টে কাজগুলি হয়ে থাকে ঘন্টা ব্যাপী, কুয়েত রেস্টুরেন্টে ভিসার বেতন হয় বাংলাদেশের টাকায় ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। কুয়েতে রেস্টুরেন্ট ভিসা এর বেতন, সরকারিভাবে 120 দিনার থেকে 180 দিনার পর্যন্ত এটি অনেক ক্ষেত্রেই ২০০ দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এবং কাজের পরিপ্রেক্ষিতে, ভালো অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ হলে, এবং দক্ষতা সংশ্লিষ্ট হলে বেতন বেশি ও হতে পারে।

কুয়েত শ্রমিকদের ভিসা বেতন কত

কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে, শুধু কুয়েত ই হোটেল ভিসা বেতন কত তাই নয় কারণ তাদের দেশের বিভিন্ন রকম দালান, কোঠা নির্মাণ রাস্তার কাজও সৌন্দর্যের, বর্ধনের জন্য বিভিন্ন রকম পার্কিং এবং বিভিন্ন রকমের কাজের জন্য, এই কুয়েতে বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি দেশ থেকে লোক সংখ্যা নিয়ে থাকে। যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যের ও আরব দেশ গুলির, মধ্য কুয়েত খুব ধনী দেশ তাদের হোটেলে ব্যবসা থেকে শুরু করে ।

বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কাজের জন্য শ্রমিকের দরকার হয়, বিশেষ করে শ্রমিকদের দিশা বেতন হলো ৯০ দিনার। কিন্তু এই টাকা উপার্জন জন্য নেপাল, ভারত ও মিশরের, শ্রমিকের ভিসা এর খরচ হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা, আর বাংলাদেশিদের খরচ করতে হয় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। কুয়েত শ্রমিকদের ভিসা এর বেতন কত অনেকেই জানতে চায়, তাদের জন্য বলার চেষ্টা করেছি মাত্র আবার বিভিন্ন কর্ম বেধে কুয়েতে ভিসা বেতন অনেকেরই বেশিও হতে পারে। সেটা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এর উপর নির্ভর করে।

কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত

বিশ্বে এখনো কুয়েতের টাকার মান বর্তমানে অনেক বেশি। শুধু কয়েত হোটেল ভিসা এর বেতন কত তাই নয় অনেক ভিসা এখন কুয়েতে খুলে দিয়েছে, তাই বাংলাদেশি মানুষেরা দলে দলে কুয়েতে পারি জমায়, কিন্তু আপনি কি জানেন সর্বনিম্ন বেতন কত আমরা জানি যে, দেশে ক্রোম বাজারের চাহিদা বেশি থাকে সেই দেশের টাকার মান বেশি। তাই কুয়েত সরকার সরকারিভাবে, ঘোষণা দিয়েছেন যে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে বাংলাদেশি প্রায় ২৫ হাজার টাকা সমান। 

অর্থাৎ যে কোন শ্রেণীর কাজ হোক কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৭০ দিনার যা বাংলা টাকায় 25000 টাকা এর সমান। তাই আপনারা যারা কুয়েতে ভালো কাজ জেনে যাবেন, তাদের অত্যন্ত ধারণা থাকবে যে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত হতে পারে। এবার আপনি যত ভালো কাজের অভিজ্ঞতা, দেখাতে পারবেন তত বেশি আপনার বেত ন বৃদ্ধি পাবে। আমাদের বাংলাদেশীরা কুয়েতে গেলে অন্তত ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করে থাকে।

 আমাদের তরফ থেকে পরামর্শ হলো এটাই যে, নিজে কাজের জন্যই যান না কেন ভালো করে কাজে মন বসিয়ে, এবং কাজ শিখি অভিজ্ঞতা দিয়ে যাবেন। কারণ ভালো কাজের চাহিদা শুধু কুয়েত নয় পুরো পৃথিবী জুড়েই আছে, তাই আপনার ভালো কাজের অভিজ্ঞতা, সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার কুয়েতে গিয়ে অন্তত কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতনের জন্য বসে থাকতে হবে না। যেহেতু আমাদের বাংলাদেশীরা অত্যন্ত পরিমাণ অর্থ, থাকে এবং দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স পাঠায়।

 কুয়েত কনট্রাকশন ভিসা বেতন কত

পৃথিবীতে কুয়েত দেশ সকল দিক থেকে সমৃদ্ধ একটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম কন্টাক্টসন, এর কাজ চলছে এবং শ্রমিকের প্রয়োজন অনেক বেশি, তাই অনেকেরই জানতে চাওয়া যে কুয়েত কন্ট্রাকশন, ভিসা বেতন কত। প্রথম অবস্থায় কুয়েত গেলে নতুন হিসাবে, কন্টাকশনের কাজ করলে সেক্ষেত্রে আপনি একটু কম বেতনে নিয়োগ হবেন। কিন্তু যদি একটু অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সম্পন্ন করে কাজ শুরু করেন আর যদি ভাল হয়।

 আপনার সর্বনিম্ন বেতন দাঁড়াবে, পঞ্চায়েত হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অনেক অংশেই, এক লাখ টাকা এর বেশি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কুয়েতে কন্টাকশনের ভিসা এর বেতন একদম নিম্নমানের হলেও ১৫০ দিনার থেকে ৩০০ দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই যদি আপনার বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কন্ট্রাকশনের কাজ এর উপর কিছুটা ধারণা দক্ষতা, অভিজ্ঞতা হলেই আপনিও প্রতি মাসে ১৫০ দিনার থেকে ৩০০ দিনার পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

কুয়েতে ক্লিনার ভিসা এর বেতন কত

কুয়েতে হোটেল ভিসা বেতন কত, এবং কুয়েতে ক্লিনার ভিসা এর বেতন কত, এই নিয়ে নানারকম প্রশ্ন আমরা অনলাইনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাই। সত্য কথা হচ্ছে প্রায় মানুষই কুয়েতে যেতে চাই, কিন্তু কুয়েতে ক্লিনার ভিসা এর বেতন কত তা কিন্তু অনেকেরই কাছে অজানা। আজও কিন্তু কুয়েতে ক্লিনার, ভিসা এর মধ্য অনেক রকম ক্লিনারের কাজ থাকে যেমন, কোম্পানি কিনা ভিসা উচ্চমানের কোম্পানি।

 ক্লিনারের ভিসা বেতন আবার সাধারণ ক্লিনারের, কোম্পানির প্রেসার বেতন এইরকম কুয়েত ক্লিনার ভিসা পাওয়া যায়। এবং এর চাহিদাও অনেক, অনেক বেশি তবে কথা হবে সব ক্লিনার ভিসা বেতন প্রায় সমান, সমান কোম্পানির ভেদে একটু তারতম রয়েছে। কুয়েতে ক্লিনার ভিসা বেতন প্রায়, ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কোম্পানি ভেদে 70 হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে। থাকে বাংলাদেশি টাকায় তবে কম করে নিম্নমানের ।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক,  এই পাঁচটি উপায়ের মাধ্যমে আপনিও কুয়েত হোটেল ভিসা এবং রেস্টুরেন্ট ভিসা এবং কনস্ট্রাকশন, ভিসা এবং ক্লিনার ভিসা এর জন্য বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে পাড়ি জমাতে পারেন। যদি এই পোস্ট সম্পর্কে, কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে। নিজের কমেন্ট বক্সে আমাদের জানাবেন আমি যথাযথ সময়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রিয় পাঠক, আমার লেখা আপনার কাছে ভালো লাগলে পোস্টটি শেয়ার করুন। এবং সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।