সরিষা ব্যবহার করার উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেল যেমন মানুষের জীবনে ব্যবহার এর চাহিদা বেশ পুরনো, রান্না সুস্বাদু তে সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় । বিভিন্ন রান্নার সঙ্গে সরিষা ব্যবহার অনেকেই পছন্দ করেন, আবার রান্নায় সরিষার তেলের ব্যবহার ও বেশ প্রচলিত ।
সরিষা খাওয়ার ফলে সরিয়ে কি ঘটে নিয়মিত রান্নায় সরিষা ব্যবহার করলে, সুদূরপ্রসারী পড়ে শরীরের উপর সকল বার্ধক্য প্রতিরোধ করেপ্রত্যেকটা মানুষের বয়স বাড়তেই থাকে । বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার চেহারায় বয়সের একটি ছাপ পড়ে যায় এই অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে ।
ত্বক আদ্র রাখে নিয়মিত সরিষা খেলে
ত্বক ভালো রাখার জন্য ভেতরে থেকে আদ্র থাকাটা খুব প্রয়োজন, এই কাজেই সাহায্য করে সরিষা নিয়মিত খেলে তা ত্বকের ভিতর আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে । আপনাদের যাদের ত্বকের বিভিন্ন ব্রণের সমস্যা হয় তারা সরিষা খেলে দ্রুত, সারাতে রাখে আপনি চাইলে নিয়মিত ওনার খাবারের তালিকায় সরিষা যোগ করাতে পারেন, তাহলে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার ত্বকের সমস্যার সকল সমাধান আপনি পেয়ে যাবেন ।
সরিষা তেলের ব্যবহার সম্পর্কে
আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তালিকার মধ্যে তরকারি খেয়ে থাকি, সরিষার তেল শুধু শরীরে ব্যবহার করার জন্য নয় আমরা যদি আমাদের বিভিন্ন খাবারের মধ্য যেমন ভর্তা ভাজি মাংস মাছের তরকারি এবং বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের, অন্য তেলের পরিবর্তে যদি সরিষার তেলের ব্যবহারটা প্রতিনিয়ত করতে পারি ।
তাহলে সরিষার তেল আপনার খাবারে দ্বিগুণ স্বাদ এবং মানের দিক থেকে একধাপ এড়িয়ে থাকবে, সরিষার তেল আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত আমাদের মাথায় এবং শরীরে ব্যবহার করি, ঠান্ডা কাশি মাথাব্যথা উপশমে কার্যকারী ভূমিকা রাখে । সরিষা এবং গর্ভবতী মহিলাদের ঠান্ডা লাগলে সরিষার তেল হাতে পায়ে এবং মাথায় দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠান্ডা নিরাময় হয় ।
সরিষা চাষ ও উৎপাদনের উপায় সম্পর্কে
সরিষা মূলত বছরে একবার চাষ হয় সরিষা চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে, একটি জমি বাছাই করতে হবে খেয়াল রাখতে হবে বৃষ্টি নামলে যাতে করে জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকে । জমিতে চাষ দিয়ে উপযুক্ত করতে হবে সরিষা উৎপাদনের জন্য, এবং সরিষা এর বীজ রোপন করে যদি উষ্ণতা থাকে তাহলে আপনাকে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ।
পানি দেওয়ার দুই থেকে তিন দিন এর মধ্যে সরিষার বীজ গজাতে শুরু করবে, আর যদি উষ্ণতা না থাকে মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রস থাকে কিংবা মাটি ভেজা থাকে সেই ক্ষেত্রে, আপনার পানি দেওয়ার কোন দরকার নেই । কারণ মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে সরিষা এর বীজ ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেও গজাতে শুরু করবে, এছাড়াও বারবার পানি দিলে সরিষা এর বীজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।
ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
সরিষায় থাকা কিছু উপকারী উপাদান ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে, এতে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেটেস্ট এবং মাইরসিনোজের মত যৌগ এই দুই উপাদান শরীরের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে । যে কারণে নিয়মিত সরিষা কিংবা সরিষার তেল খেলে বা সরিষা দেওয়া খাবার খেলে এই অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করা অত্যন্ত সহজ হয় ।
সরিষা খাওয়ায় মাথা ব্যথা উপশম করে
মানবজীবনে মাথা ব্যথা একটি সাধারণ বিষয়বস্তুর মতই যেমন, অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করেই মাথার ভিতরে ব্যথা প্রচুর মাথা ব্যথা উপশমে কার্যকরী ভূমিকা রাখে সরিষা । কারণ সরিষায় থাকে ম্যাগনেসিয়াম এই উপাদান মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে, আপনি যদি নিয়মিত সরিষা খান তাহলে আপনাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রমোশিত রাখে ।
সেই সঙ্গে এটি শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতে ও কাজ করে, সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যায় যদি আপনি ভুগেন আপনার জন্য একটি মূল্যবান এবং কার্যকরী খাবার হতে পারে সরিষা । আপনি বিভিন্ন রান্নায় সরিষা এর তেল এর ব্যবহার করতে পারেন, এতে করে আপনার বিভিন্ন ধরনের খাবার এর স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলবে রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করলে ।
হজমে সাহায্য করে সরিষা
সরিষায় থাকা অনেকগুলি উপকারী উপাদান হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, পরিপাক ক্রিয়ার জন্য সরিষা বেশ কার্যকরী । আপনারা যদি কেউ বদ হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিনিয়ত আপনার খাবারের তালিকায় সরিষা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, এতে করে আপনার বদ হজম এর সমস্যা খুবই দ্রুত সমাধান হবে ।
নিয়মিত সরিষা খেলে তা কোষ্ঠ কাঠিন্যর মত সমস্যাগুলির ও মুক্তি দেয়, এটি দ্রুত আবার হজমে অত্যন্ত ভূমিকা রাখে । সরিষায় থাকা বিভিন্ন উপাদান অনেক কার্যকরী এতে রয়েছে, ভিটামিন এ সি এবং আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মণিলতা যাহারা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তাহারা প্রতিনিয়ত সরিষা খেলে উপকার পাবেন ।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এই সাতটি উপায়ে এর মাধ্যমে সরিষা এর ব্যবহার আপনি করতে পারেন নিশ্চিন্তে । এবং বিবেচনা সবকিছুই করতে পারে আশা করি উপরে পোস্টটিতে, আমি আপনাদের সরিষা এর উপকারিতা সম্পর্কে বুঝাতে পেরেছি । আপনার যদি এই পোস্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে, নিচে কমেন্ট আমাদের জানাবেন আমি যথাযথ সময়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ।
আমার লেখা আপনার কাছে ভালো লাগলে, পোস্টটি শেয়ার করুন এবং আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url